ই-কমার্স ব্যবসা
|

ই-কমার্স ব্যবসা কি এবং কিভাবে এই ব্যবসায়ে সফল হবেন? বিস্তারিত তথ্য জানুন!

ই-কমার্স ব্যবসা কি এবং এই ব্যবসায়টি কিভাবে শুরু করবেন সেটি বলার আগে চলুন জেনে নিই ই-কমার্স ব্যবসা টির উৎপত্তি কিভাবে হল। 

ইলেকট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI) এর মাধ্যমে ই-কমার্স এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। ইন্টারনেটের বিস্তারের ফলে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে অনেক গুণ বেড়ে যেতে শুরু করে। amazon এবং ebay এর মত জায়ান্টরা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। মূলত তখন থেকেই এই দুইটি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের এক নতুন অধ্যায় শুরু করে

ই কমার্স ব্যবসা কি

ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোন ধরনের পণ্য কেনাবেচা করার মাধ্যমকেই আমরা  ই-কমার্স ব্যবসা বলে স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। আপনারা কি আমাজন, ফ্লিপকার্ট এবং আলিবাবার মত  ওয়েবসাইট গুলোর নাম শুনেছেন? আপনারা কি জানেন? এগুলোর মাধ্যমেই অনলাইনে কেনাবেচা হয়ে থাকে! আর এগুলোই হচ্ছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট। 

বর্তমানে ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেক সহজতর করে তুলেছে। এসব ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন। কাজেই বলা যায় ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক সহজ মাধ্যম। তাই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ধীরে ধীরে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব ই-কমার্স ব্যবসায়ে।

নিম্নলিখিত ৫টি পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনি ও ই-কমার্স ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন

১. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করুন 

ই-কমার্স ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই  গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আর গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করার সবচেয়ে  বড় উপায় হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা। কম পুজিতে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত জানুন!

২. ভাল কোয়ালিটির পণ্য সরবরাহ করুন

সস্তা এবং মানহীন পণ্যের দিন শেষ! গ্রাহকরা সবসময়  ভাল কোয়ালিটির পণ্যের খোঁজ করে। আর পণ্যের কোয়ালিটি যদি ভাল হয় তাহলে দাম বেশি দিয়ে কিনতে ও গ্রাহকদের আপত্তি থাকে না। ই-কমার্স ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই গ্রাহকদের ভাল পণ্য দিতে হবে। যদি ভাল গুনাগুণ সম্পন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে আপনি ব্যবসায়ে লাভবান হতে পারবেন।

৩. ওয়েবসাইট তৈরি করা

যে কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট থাকা খুবই আবশ্যক। কেননা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যগুলো খুব সুন্দরভাবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। গ্রাহকরাও তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য ক্যাটাগরি দেখে সহজেই খুঁজে বের করে অর্ডার করতে পারবে তাদের সুবিধা মতো। একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে। তাই ই-কমার্স ব্যবসা কি সেটা বুঝে ব্যবসায় শুরু করার আগে অবশ্যই ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন।

৪. ফেইসবুক পেইজ

ই-কমার্স ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই ফেসবুকে পেইজ থাকতেই হবে। আপনার যদি ফেসবুকে পেইজ না থাকে তাহলে গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য প্রমোট করতে পারবেন না। আপনি মাত্র কয়েক ডলার খরচ করেই ফেইসবুকে বিরাট সংখ্যক গ্রাহক কে টার্গেট করে তাদের কাছে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন যা প্রচলিত মিডিয়াতে সম্ভব নয়। প্রচলিত মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিতে গেলে অনেক বড় বাজেট প্রয়োজন। যেটা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা সম্ভব না।

৫. ব্যবসায়ের সাথে সঙ্গগতিপূর্ণ সুন্দর একটি নাম রাখুন

যে কোন ব্যবসায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো নাম। মানুষ খুব সহজেই মনে রাখবে এরকম আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন ব্যবসায়ের সফলতায় ভূমিকা পালন করে। যে নামটি দিবেন অবশ্যই সেটি ব্যবসায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। জেনে নেওয়া যাক টাকা ছাড়া কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব?

কারণ ব্যবসায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এই রকম নাম গুলো মানুষ সহজে মনে রাখতে পারে না। আপনি যে নামটি নির্বাচন করবেন সেই নামে ডোমেইন অ্যাভেইলেবল আছে কিনা তা যাচাই করে নিবেন। কারণ আপনাকে পরবর্তীতে এই নাম দিয়েই একটি ডোমেইন কিনতে হবে।

শেষ কথা

ই-কমার্স ব্যবসা কি সেটা তো জেনে নিলেন। সাথে জেনে নিলেন এর ইতিহাস এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ে কিভাবে সফল হতে পারবেন সেই বিষয়ে। তো আর দেরি কেন আগ্রহী হলে আপনি ও শুরু করে দিতে পারেন আপনার ই-কমার্স ব্যবসা!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *