কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
|

কাপড়ের ব্যবসা করার সঠিক নিয়ম কানুন জানুন!

কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম : আদিকাল থেকে ব্যবসা জীবিকার খুব গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্যবসা মানে বিনিময়। একটা সময় পশুর হাড় আর কড়ি-পাথর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা হতো। 

এইগুলোর মত কাপড়ের ব্যবসাও অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪,০০০ সালে প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ার গুহায় প্রথম কাপড় আবিষ্কৃত হয়। ধারণা করা হয়, তারও আগে থেকেই কাপড়ের ব্যবসা হয়ে আসছে। এই ব্লগে আমরা আপনাকে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা দিব।

কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

কাপড়ের ব্যবসার ধরণ

পৃথিবীতে হাজার ধরণের ব্যবসা আছে। বেকার যুবসমাজ খুঁজে খুঁজে হয়রান চাকরির জন্য। তারা ভাবে, চাকরি না হলেও অন্তত ব্যবসায় ও তারা করতে পারবে না। কারণ তাদের পর্যাপ্ত মূলধন নেই। এখানে এটা জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দুই ধরণের মূলধনের কথা আসে। প্রথম টা হলো অধিক মূলধনী ব্যবসা, অপরটি হলো স্বল্প মূলধনী ব্যবসা।

স্বল্প মূলধন ও কাপড়ের ব্যবসা

আমরা কথা বলবো দ্বিতীয় টা নিয়ে, অর্থাৎ স্বল্প মূলধনী ব্যবসা সম্পর্কে। আমরা চাইলেই অতি অল্প মূলধন দিয়েই কাপড়ের ব্যবসা করতে পারি কারণ এই ব্যবসা স্বল্প মূলধনের ব্যবসা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাপড়ের চাহিদা বিশেষ করে ছিট কাপড়ের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য ট্রেইনিং

কাপড়ের ব্যবসা করার অনেক নিয়ম আছে। তার মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা করাটা সর্বোত্তম। 

আপনি চাইলেই খুব সহজেই ট্রেইনিং নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি “বাংলাদেশ টেক্সটাইল বোর্ড” থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এখন অনলাইনেও কাপড়ের ব্যবসার ওপর বিভিন্ন কোর্স রয়েছে, চাইলে আপনি সেগুলোও নিতে পারেন অথবা যারা টেক্সটাইল শিল্পের সাথে জড়িত তাদের নিকট হতেও আপনি ব্যবসা শিখে নিতে পারেন।

কাপড়ের ব্যবসার ধরণ

আপনি কাপড় উৎপাদন করতে পারেন, কাপড়ের দোকান দিতে পারেন, কাপড়ের পাইকারী ব্যবসা করতে পারেন অথবা যেটা বর্তমানে সবচাইতে বেশী সুবিধা সেটা হলো অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা। চাইলে সেটিও করতে পারেন। নিচে এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হল।

কাপড় উৎপাদন করা 

দেশী কাপড় উৎপাদনে শীর্ষে অবস্হান করছে নরসিংদী। এনসিসিআই’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ নরসিংদী থেকেই আসে। কাপড় উৎপাদনে প্রাচীন এবং অাধুনিক নিয়মে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। যেমনঃ সাধারণ বোনা, টুইল বোনা, সাটিন বোনা এসবের ক্ষেত্রে প্রাচীন ও আধুনিক পদ্ধতির মধ্যে খুবই কম পার্থক্য রয়েছে। আপনি কাপড়ের ডিজাইনও করতে পারেন।

কাপড়ের দোকানের ব্যবসা

আপনি যদি কাপড়ের দোকান দিতে চান তাহলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে। প্রথমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে শুরু করলেও, পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে চললে ধীরে ধীরে আপনার সফলতা বৃদ্ধি পাবে।

কাপড়ের ব্যবসায়ে যেসব কিছু মাথায় রাখবেন

লোকেশন 

আপনি যদি কাপড়ের দোকান দিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। এমন স্থানে আপনাকে দোকানটা দিতে হবে যেখানে প্রচুর জনসমাগম হয়, যাতে আপনার দোকানটা সবার নজরে পড়ে।

পরিকল্পনা

আপনাকে প্রতিদিনের রুটিন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে আপনাকে লাভ-ক্ষতি নির্ধারণ করতে হবে, এমনকি যদি ক্ষতিও হয় তারপরও আপনাকে লেগে থাকতে হবে সঠিক পথে, সঠিক প্ল্যান অনুযায়ী।

ক্রেতা ধরে রাখা

আপনাকে ক্রেতার বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। কম দামে টেকসই জিনিস তাদের দিতে হবে। একবার যদি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আর কখনো তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। 

বিভিন্ন ভাবে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

কাপড়ের পাইকারী ব্যবসা 

পাইকারী বা হোলসেল বিজনেস হচ্ছে বি২বি মডিউলের বিজনেস, প্রথমত যারা মূল টারগেটেড ক্লায়েন্ট তারা হলেন বিজনেস ওনার। দ্বিতীয়ত, কানেকশন হলো পাইকারী ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ভালো কমিনিউকেশন স্কিল থাকলে আপনাকে আবার আটকায় কে?

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমানে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা জমজমাটভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গতবছর অনলাইনে বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায়, ই-কমার্স খাতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যেখানে পোশাক শিল্পের বিপুল অবদান রয়েছে। ব্যবসা করার নিয়ম সঠিক নিয়ম কানুন জানুন!

যেহেতু অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতা সরাসরি আপনার সাথে দেখা করতে পারছে না বা পণ্য সরাসরি ক্রেতা হাতে নিতে পারছে না তাই আপনাকে অধিক পরিমাণে সতর্ক হতে হবে যাতে ক্রেতা কোনোরকমেই ঠকে না যায়। আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে এবং পণ্যকে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।

শেষকথা

আপনাকে এতক্ষণ কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আমরা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। মনে রাখবেন সকল ব্যবসায় সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হয়, এর অন্যথা হলে সফলতা আসবে না। ঠিক কাপড়ের ব্যবসাও এর ব্যতিক্রম নয়। 

ক্রেতার চাহিদা বোঝা, ট্রেন্ড ও ফ্যাশন অনুযায়ী পণ্য স্টক করা, সর্বশেষ সততা ও বিশ্বস্ততার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে আশা করা যায় আপনার ব্যবসা দ্রুত এবং সফলভাবে এগিয়ে নেয়া যাবে। সিনজেনটা কীটনাশক তালিকা জেনে নিন!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *