চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল তথ্য জানুন!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের তৃতীয় এবং আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যায়লয়। এটি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত বহু-অনুষদভিত্তিক বাংলাদেশের সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। বলা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্য সবগুলোর থেকে আলাদা। কিন্তু কেন? এমন কি আছে এখানে যা একে অন্য সবগুলো থেকে আলাদা করেছে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আসলে এখানে এমন অনেক কিছু আছে যার কারণে এটি অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আলাদা। আপনি যদি জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে ভালোবাসেন, শুধুমাত্র পাঠ্য বই আর ক্লাসরুমের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে আবদ্ধ করে না রাখতে চান তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আপনার জন্য সঠিক জায়গা। পাহাড়ে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আপনার সামনে বৈচিত্রের দ্বার উন্মুক্ত করে দিবে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানুষ এবং প্রকৃতির মাঝে প্রাণের মেলবন্ধন। সবরকম কোলাহল এবং শহরের যান্ত্রিক-যানজটমুক্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির কোলে এক অপরূপ নৈস্বর্গ। গাছে গাছে বিচিত্র রঙের পাখি, সবুজ পাহাড়ের কোলে থাকা হরিণ, ঝুলন্ত সেতু, ঝর্নাধারা, জাদুঘর সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে যা সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
এই লেখার মাধ্যমে আজ আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এমন অনেক কিছু জানবো যা একে অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করেছে। এছাড়াও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অন্যান্য কিছু তথ্যও থাকছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর যাবতীয় সকল তথ্য!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
চট্টগ্রাম শহর থেকে 22 কিলোমিটার দূরে হাটহাজরী থানার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। পাহাড় এবং সমতলভূমি মিলে এই প্রতিষ্ঠানটির মোট জায়গা প্রায় 1753.88 একর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ট্যুরিস্ট স্পটও বটে।
যেভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরত্ব মাত্র 12 কিলোমিটার। এখান থেকে বাস, সিএনজি বা অটোরিক্সায় সহজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে যেতে পারবেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের বটতলি বা ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে বিনামূল্যে যেতে পারবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রেন এই সকল স্টেশনগুলো থেকে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী যাতায়াত করে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সমাহার। সেই সাথে মানুষের তৈরি বিভিন্ন স্থাপনা এই সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাহাড়ি ঝর্ণা:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে রয়েছে এক নজরকাড়া পাহাড়ি ঝর্ণা। পাহাড় থেকে নেমে আসা নির্মল স্বচ্ছ জলরাশি এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে। এই দৃশ্য দেখতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় সবসময় এই এলাকাটি মুখরিত থাকে।
ঝুলন্ত সেতু:
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত ঝুলন্ত সেতুটি রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুর আদলে তৈরি, যা এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে একটি আলদা মাত্রা যোগ করেছে। সেতুটি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।
ফরেস্ট্রি এলাকা:
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন করেছে ফরেস্ট্রি এরিয়া। ইনিস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স সবুজ বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত করেছে। এই ফরেস্ট্রি এলাকাটি 50 একর ভূমির উপর অবস্থিত, যেখানে লেক, সুইমিংপুল, হেলিপ্যাড, মেমোরিয়াল গার্ডেন ইত্যাদি রয়েছে।
কাটাপাহাড়:
এটি হলো একটি বিশাল পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পিচঢালা রাজপথ যেটি প্রধান ফটক থেকে সামনের দিকে বিস্তৃত। দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়, কিছুদূর পরপর যাত্রী ছাউনি, উঁচু টিলার গাছে গাছে নানা প্রজাতির পাখি, মায়া হরিণের লুকোচুরি একজন দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট। এই রাস্তা ধরে সামনে আগাতে থাকলে বেশ কিছু ভবন ও স্থাপনা চোখে পড়বে, যেমন- ডিবেটিং সোসাইটির অফিস, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, আইটি ভবন, মুক্তমঞ্চ, জাদুঘর ইত্যাদি।
চালন্দা গিরিপথ:
এই গিরিপথটি বর্তমানে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। কলা অনুষদের পাশের ঝর্ণার পানি দিয়ে কিছুদূর এগুলো এই রহস্যময় মায়াবী সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। কিছু কিছু যায়গাতে হাটু পরিমাণ পাহাড়ী স্বচ্ছ পানি রয়েছে। আরো সামনে গেলে দেখা যাবে আদা-সরিষা সহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের অপূর্ব দৃশ্য। এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেকেই মাঝেমাঝে এখানে চলে আসে।
জীববৈচিত্র:
আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথ, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও বন্যপ্রাণী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে জীববৈচিত্রের সম্ভারে পরিণত করেছে। এখানে অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়া কাটা পাহাড়, বাণিজ্য অনুষদের পেছনে বা ফরেস্ট্রিতে মাঝে মাঝে বাদামী রংয়ের হরিণ দেখতে পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা
এখানে রয়েছে বেশ কিছু স্থাপনা, যেগুলো সৌন্দর্যের পাশাপাশি আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করে। যেমন-
স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই এই ভাস্কর্যটি চোখে পড়ে যার স্থপতি সৈয়দ সাইফুল কবির। স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আত্মত্যাগের বিরত্ব স্বরূপ এই ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে। ভূমি থেকে মূল বেদি পর্যন্ত চারটি ধাপের প্রত্যেকটি বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বাক্ষ্য বহন করে। যার মধ্যে প্রথম ধাপ ভাষা আন্দোলন, দ্বিতীয় ধাপ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, তৃতীয় ধাপ সত্তরের নির্বাচন এবং চতুর্থ ধাপ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিফলিত করে।
শহীদ মিনার:
বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের বিপরীত পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অবস্থান। অসাধারণ এই স্থাপনাটি 1993 সালে স্থাপন করা হয়। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল তথ্য!
বৃদ্ধিজীবী চত্বর:
বাণিজ্য অনুষদের সামনে বুদ্ধিজীবী চত্বর অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে এটি নির্মান করা হয় 1985 সালে। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সৃজনশীল এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সূতিকাগার হিসাবে ধরা হয়।
স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল:
কলা অনুষদের সামনে এটির অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মৃর্তজা বশিরের একক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয় এই ভাস্কর্যটি। তবে এর নকশা করেন চারুকলা ইনিস্টিটিউটের শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল কবির। এখানে বাঙ্গালীর ছয় দফা দাবী ও স্বাধীনতা আন্দলনের ক্রমধারা, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর:
1973 সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল জাগুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে মধ্যযুগের চারটি কামান রয়েছে। জাদুঘর ভবনটি মোট 5টি গ্যালারিতে বিভক্ত। এগুলো হলো সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি, প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্তিক আর্ট গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি এবং লোকশিল্প গ্যালারি।
ক্যাফেটেরিয়া:
এখানে দুইটা ক্যাফেটেরিয়া আছে, যার একটি চাকসু ভবনের নীচতলায় এবং অন্যটা আইটি ফ্যাকাল্টিতে রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কোলাহলে এই ক্যাফেটেরিয়াগুলো প্রায় সারাদিনই মুখরিত থাকে। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার সঠিক নিয়মাবলী জেনে নিন!
সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর:
দেশের একমাত্র সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এটিকে সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট বলা হয়। এখানে 550 টির মতো বিভিন্ন ধরণের বিস্ময়কর সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গ্রন্থাগার:
1966 সালের নভেম্বর মাসে একটি ভবনে অস্থায়ীভাবে গ্রন্থাগার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে 1990 সালে এটি নিজস্ব ভবনে চলে আসে। 56,700 বর্গফুটের এই গ্রন্থাগারে প্রায় 3 লাখ 50 হাজার বই এবং 40 হাজার জার্নাল রয়েছে, যার মধ্যে কিছু সংগ্রহ অত্যন্ত বিরল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বৈশিষ্ট
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বেশ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে যা শুধু এখানেই দেখতে পাবেন। এগুলো প্রতিষ্ঠানটিক অনন্য করে তোলে।
শাটল ট্রেন:
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে এই শাটল ট্রেনের গুরুত্ব অনেক, যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিশেষত্বও বটে। প্রায় 22 কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এর যাতায়াত রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় 15 থেকে 16 হাজার শিক্ষার্থী এই ট্রেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়ত করে। তাছাড়া এখানে ঘুরতে আসা অনেকেই এই শাটল ট্রেন দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। বিশ্বে একমাত্র এখানেই বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেন দেখবেন, যেটিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাণ বলা হয়।
উৎসব:
পহেলা ফাল্গুন বা বাংলা নববর্ষে এই ক্যাম্পাসকে নতুন রূপে উপলব্ধ করা যায়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস, বইমেলা ছাড়াও কালচারাল সংগঠনের উদ্যোগে সারা বছরই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগের আয়োজিত নবীন বরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোর কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সারা বছর উৎসবমুখর থাকে।
ক্যারিয়ার সহায়ক প্রোগ্রাম:
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা, নেতৃত্ব গুণ বা সাংগঠনিক সক্ষমতা রপ্ত করার জন্য নিয়মিতভাবে ক্যারিয়ার সহায়ক কিংবা প্রতিযোদিতামূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এগুলোতে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদেরকে আরো বেশি যোগ্য হয়ে উঠতে সহায়তা করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এ 12টি হল রয়েছে। হলগুলো বেশিরভাগই সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম স্বপ্নপূরী। প্রতিটার নির্মানশৈলী আলাদা এবং সবাইকে মুগ্ধ করে। এগুলোর মধ্যে 7টি ছেলেদের জন্য। যেগুলো হলোঃ
- শাহ আমানত হল
- শাহজালাল হল
- আলাওল হল
- এফ আর হল
- সোহরাওয়ার্দী হল
- আব্দুর রব হল
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
মেয়েদের জন্য হল রয়েছে 4টি, এগুলো হলো-
- শামসুন্নাহার হল
- প্রীতিলতা হল
- দেশেনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল
- জননেত্রী শেখ হাসিনা হল
শেষ কথা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি প্রকৃতির কোলে মানুষের তৈরি অসাধারণ একটি সৃষ্টি। এখানকার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন শিক্ষার্থীকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। উৎসবমুখর এই প্রতিষ্ঠানটি তার দীর্ঘ পথচলায় অনেক কৃতি সন্তান উপহার দিয়েছে। যারা যুগে যুগে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল ব্যক্তিবর্গ এবং অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মঙ্গলময় ভবিষ্যত কামনা করি।