চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের সম্পুর্ণ তালিকা!
দেশের মেডিকেল সেক্টরে ঢামেকের পাশাপাশি চমেকের অবদানও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যার পূর্ণরূপ “চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ”। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত চিকিৎসাসেবাও দিয়ে আসছে। চট্টগ্রামের রোগীদের একটি বড় অংশ জটিল রোগ সারাতে সাহায্য নেয় এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। আপনি যদি চট্টগ্রামের বাসিন্দা হোন কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে আপনার যদি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা এর দরকার হয়, তবে আমাদের আজকের এই আয়োজনটি আপনার জন্যেই। সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচিতি
মূলত এটি একটি চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন কোর্সের উপর উচ্চ শিক্ষা দানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসাসেবার মতো কার্যক্রমও পরিচালিত হয়ে আসছে। যেসব মেডিকেল শিক্ষার্থী চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে এম.ডি.এম.এস. এমফিল, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ কোর্স শেষ করতে চায় মূলত সেসব শিক্ষার্থীদের সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করতেই গড়ে উঠেছে এই মেডিকেল কলেজ।
বলে রাখা ভালো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে এর শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারিভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। “শিখতে আসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও”…এই নীতিবাক্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির ধরণ হলো সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়।
শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অবকাঠামোতেই নয়! এর পাশাপাশি কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম একইসাথে পরিচালিত হয়ে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের মতো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতেও।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যাপক ডা: সাহেনা আক্তার। স্নাতক কোর্স হিসেবে এমবিবিএস এবং স্নাতকোত্তর কোর্স হিসেবে এমএস, এমডি, এমফিল, ডিপ্লোমা, এফসিপিএস কোর্সসহ সব বিভাগ মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশোনা করে আসছে প্রায় ১৫০০ জনের মতো শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রামের শহরাঞ্চলে সংক্ষিপ্ত আকারে সম্বোধন করা এই চমেক / সিএমসি বর্তমানে হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মানসম্মত চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে৷ একটি কথা না বললেই নয়, কলেজটির কিন্তু প্রাক্তন নাম ছিলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামক এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে দাঁড়িয়ে আছে। চট্টগ্রামে গিয়ে এর পাঁচলাইশ এলাকার কে বি ফজলুল কাদের রোডে গেলেই দেখা মিলবে এই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির৷
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাস
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উদ্ভোনীতে একসময় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠা করা হয় একটি মেডিকেল স্কুল। অন্যান্য মেডিকেল স্কুলের মতো এখানেও মেডিকেল স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো। সময়টা ১৯০১ সাল! সে-সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় গড়ে উঠা এই প্রথম মেডিকেল স্কুলটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চার বছর মেয়াদী এলএমএফ ডিগ্রী কমপ্লিট করার সুযোগ পেতো।
চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সে-সময় চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালগুলিই ছিলো শেষ ভরসা। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে এসব জেনারেল হাসপাতাল ছাড়া সরকারি কোনো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ ছিলো না।
ওই যে শুরুতে বললাম, আন্দরকিল্লায় গড়ে উঠা চট্টগ্রামের প্রথম মেডিকেল স্কুল সম্পর্কে? সেই স্কুলটি আবার ১৯৬০ সালের দিকে স্থানান্তরিত হয় চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ এলাকায় কে বি ফজলুল কাদের রোডে। নতুন করে শুরু হয় নতুন স্থানে নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। সাথে ছিলো মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী!
হাসপাতালের কথা যদি বলি তবে বলতে হয়…শুরুতে বেশ ক্ষুদ্র আঙ্গিকেই শুরু করা হয় প্রতিষ্ঠানটির এই অংশের যাত্রা। প্রতিষ্ঠানটির হাসপাতাল অংশে শুরুতে ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারীর ব্যবস্থা না থাকলেও পরবর্তীতে এর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও নতুন করে চালু করা হয় ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং(MRI), কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং সিস্টেম। ১৩১৩ শয্যাসংখ্যা নিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি সেবা দিয়ে আসছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো
১৯৬০ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা হাসপাতালটি বর্তমানে মোট ১৫০০ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ১৩১৩ শয্যাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দাঁড়িয়ে আছে। তবে ১৩১৩ শয্যাসহ যে নতুন ভবনটিকে প্রতিষ্ঠানটির সাথে বর্তমানে যোগ করা হয়েছে, সে ভবনটিকে মূলত প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতাল বলা হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং হাসপাতালের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে একটি শহীদ মিনারও রয়েছে।
বলে রাখা ভালো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কিন্তু একটি বিশাল মিলনায়তন রয়েছে। যা সারাদেশে “শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তন” নামেই বেশি পরিচিত। এতে প্রায় ১০০০ দর্শককে একসাথে ধারণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূলত এই মিলনায়তনটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা উত্তম শাহ আলমের সাহসী চেতনাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাজঘর, লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেমের কারণে এটিকে চট্টগ্রামের অন্যতম আধুনিক মিলনায়তন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে এন্ডোস্কপি ইউনিট, রেডিওথেরাপী, কিডনি ডায়ালাইজিং, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আই.সি.ইউ), করোনারী কেয়ার ইউনিট (সি.সি.ইউ), নিউনেটালজি, আই.সি.ইউসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট৷
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম
শুরুতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষা-কার্যক্রম হিসেবে মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকলেও পরবর্তীতে আরো কিছু সাবজেক্ট যোগ করা হয়। এক্ষেত্রে যোগ করা হয় অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণ-রসায়ন। সবমিলিয়ে মোট ৩৫ টি বিভাগ চালু রাখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আরো একটি তথ্য জানিয়ে রাখা প্রয়োজন। কলেজটিতে প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে সর্বমোট ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্যেও বেশকিছু সিট খালি রাখা হয়। বলে রাখা ভালো প্রতিষ্ঠানটিতে ১৯৯০ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে নতুন বিভাগ হিসেবে ডেন্টাল ইউনিট চালু করা হয়। এক্ষেত্রে এই ইউনিটেও প্রতি বছর আলাদা করে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা
শুরুতেই বলে রাখি এই প্রতিষ্ঠানটির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস!রযেহেতু এটি একটি সরকারি হাসপাতাল সেহেতু এতে সরকারিভাবেই সকল রোগের চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ জনগনের কথা ভেবে এর বেশিরভাগ চিকিৎসাকেই ২৪ ঘন্টার জন্যে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।
রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দিনে ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও যেকোনো অপারেশনের ক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের। প্রতিটি ক্যাটাগরির রোগ এবং রোগীর জন্যে এতে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আলট্রাসনোগ্রাফি করার আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা, অপারেশনের জন্যে দরকারি সকল যন্ত্রের যথেষ্ট মজুদ থাকায় চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রতিষ্ঠানটিকে কখনো কোনো বাঁধার মুখোমুখি হতে হয় না।
যাইহোক! চলুন এবার সরাসরি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা নিয়ে সাজানো অংশে চলে যাওয়া যাক।
ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী
এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), ডি-কার্ড, এমডি (কার্ডিওলজি) কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার এবং প্রফেসর বসনা মুহুরী
এফসিপিএস (শিশুরোগ), এমবিবিএস, শিশু রোগ ও শিশু নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাঃ মোঃ মাহাবুবুল আলম খন্দকার
এমডি (নিউরোলজি), এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন), নিউরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার এবং প্রফেসর মোঃ হাসানুজ্জামান
এমডি, (নিউরোলজি) এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), ব্রেন, স্ট্রোক, নার্ভ, মেডিসিন ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার সামিরা জামাল
এমডি (চর্মরোগ) ত্বক, অ্যালার্জি, কুষ্ঠ, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এবং সার্জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার শোয়েলা শাহনাজ
এফসিপিএস (ওবিজিওয়াইএন) প্রসূতি, এমবিবিএস, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রফেসর এবং ডাক্তার মনসুরুল আলম
পিএইচডি, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (চর্মরোগবিদ্যা), এমডি (স্কিন অ্যান্ড ভিডি), এফআরসিপি (গ্লাসগো) ত্বক, অ্যালার্জি, কুষ্ঠ, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার সরোজ কান্তি চৌধুরী
এফসিসিপি (ইউএসএ) হাঁপানি, এমবিবিএস, এমসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (বুকের রোগ), মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার সাবিনা ইয়াসমিন
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস
ডাক্তান চন্দন কুমার দাস
এও (ট্রমা), মাস্টার্স (এলই), এমআইও, এমবিবিএস, এমএস (অর্থো), ফেলো (এআইআইএমএস) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ এবং ট্রমা সার্জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ডাক্তার শিউলী মজুমদার
এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) এমবিবিএস, নিউরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইতি কথা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকাসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরকার তথ্য নিয়ে ছিলো আমাদের আজকের এই আয়োজন! কতটা উপকৃত হয়েছেন, তা জানি না। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখিনি। আরেকটি ব্যাপারে একেবারে না বললেই নয়! চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ার খরচের পরিমাণ যথেষ্ট কম থাকে ঠিকই! তবে আজকাল এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে বেশ সমালোচনাও চলছে। এক্ষেত্রে যদি ডাক্তার এবং নার্সসহ কতৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রেখে কাজ করতে পারে, তবে আশা করা যায় এশিয়ার চিকিৎসাক্ষেত্রে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসবে এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।